Sunday 9 October 2011


 'Tomas Gösta Tranströmer (Swedish pronunciation: [ˈtʊːmas ˈjœsˈta ˈtrɑːnˈstrœmər]) (born 15 April 1931) is a Swedish writer, poet and translator, whose poetry has been translated into over 60 languages. Tranströmer is acclaimed as one of the most important Scandinavian writers since World War II. Critics have praised Tranströmer’s poems for their accessibility, even in translation; his poems capture the long Swedish winters, the rhythm of the seasons and the palpable, atmospheric beauty of nature. He was awarded the Nobel Prize for Literature in 2011.'
 TOMAS TRANSTOMER ~~ NOBEL PRIZE WINNER IN LITT. 2011.
 ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
April and Silence
Spring lies deserted.
The velvet-dark ditch
crawls by my side without reflections.
All that shines
are yellow flowers.
I’m carried in my shadow
like a violin in its black case.
The only thing I want to say
gleams out of reach
like the silver
in a pawnshop.
 এবারের নোবেলজয়ী কবি Tomas Transtromer কবিতার অনুবাদ~~
এপ্রিল ও নিস্তব্ধতা
~~~~~~~~~~
বসন্ত এলিয়ে আছে কেমন,একাকী।    
মখমল- রং নালী আমার পাশে পাশে
গুড়ি মেরে এগোয়,প্রতিফলন হীন।
সব উজ্জ্বলতাই শুষে
নিয়েছে হলুদফুল।
আমি আমার ছায়াকে বহন করছি
বেহালার কাল খাপে।
আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই
আমার সাথে আড়ি আলোর।
রূপো শুয়ে আছে
বন্ধকী দোকানে।
অনুবাদ~~নন্দিতা ভট্টাচার্য।

Friday 7 October 2011

আমার শহর

আমার শহর ~~~~~~~~

by Nandita Bhattacharjee on Friday, October 7, 2011 at 10:16am
শরীরের রসায়ন বিবস

হয়েছে চান্দ্র অমসৃণতায় --
তবুও বছরে কদিন ঘাড় ঘুরিয়ে
দাঁড়াস অলঙ্কারের বিপুল উদ্ভাসে -
যেন নির্বাক শূন্যতায় ঢেকেছে প্রত্যয় ।
 

ক্ষনিকের নিবিড় সংলাপে
ঢাকা পড়ে যায় কার ঘরে
কত কত ক্ষয় অবিলম্বে নিশ্চয় ।
 

কয়েকটাদিন জিরান নিয়ে
আবার শুরু হয় তোর
আকাল বোধন ।
আমার শহর

ইরম- তোকে মরম

ইরম- তোকে মরম    

শর্মিলা
ইরম
তোকে জানাই
মরম    মরম    মরম ।
 চারদিকে ধুম লেগেছে হৃদকমলে ।
আলোর বিলাপ,মানুষের উদভ্রান্ত উল্লাশ ,ময়ুর নৃত্য
তারমাঝে তোর মুখ মনে পড়ে
টিউবের অলঙ্কারে শোভিত
উজ্জ্বল এক দ্বীপমালা , নক্ষত্রখচিত
রোমাঞ্চিত ভ্রুযুগল  কত কথা বলে
তোর চোখের তারায় জ্বলে ওঠে লোকতাগ লেক।
 অপেক্ষা--
গঙ্গাজল সই তোর
আফস্পার অশনি সঙ্কেত , রক্তের দাগ মুছে
এক নরম প্রলেপ লাগাতে চাস মানুষের বুকে।
ওদিকে ডেসমণ্ড কলমে আঁকে তোর মন
বসে আছে অপার হয়ে কবে রজকিনি,
নিকষিত হেম জড়িয়ে নেবে সব
বিহ্বল  বিষাদের কথা ।
অপেক্ষার
আর এক নাম
শার্মিলা ইরম
মরম    মরম     মরম ।

ভাঙ্গা গড়ার সাতকাহন

ভাঙ্গা গড়ার সাতকাহন

by Nandita Bhattacharjee on Monday, October 3, 2011 at 10:13pm
ষষ্ঠীর সন্ধ্যে থেকেই মায়ের মন খারাপ,বলেন নি কিছুই তবুও যেন চোখের দিকে তাকালে ,গালের ভাঁজের কাপনে , সন্ধ্যেতে আনমনা হয়ে বসে থাকা সবই যেন মুখর হয়  মায়ের আজ মন কোথায় আনমনা হয়েছে ।তক্ষুনি দাদার ফোন এল ,"বিল্বষষ্ঠী করছ ,কাকিমা,আমাদের সব কেমন ছন্নছাড়া হয়ে গেল'যে জলটুকু সারাদিন চেষ্টা করে ধরে রাখা ছিল তা গড়িয়ে  পড়ল  বললেন ,'হ্যাঁ ,মনে মনে করছি। এই তো  উঠোনে বেল গাছের ডাল পোতা হয়েছে ।আমরা ছ 'জন জা ঘিরে বসেছি ।'আর কিছু বলা হল না ।
বাড়ীতে পুজো  হত । পুজো  থেকেও বেশি সারা পরিবারের মিলন মেলা ।সেখানে ধর্ম কতটুকু ছিল জানিনা। তাবে প্রবাসে থাকা বাড়ির ছেলেটি আসবে,  মেয়েরা  আসবে শশুরবাড়ি থেকে, পিসিরা  আসবেন । সকলে  এলেই    ছুটে ছুটে  বেরনো ,সে সকাল ,বা রাত দুপুরই হোক ।তারপর তো হই হই ।সকলের তদারকি। দিদিদের ফাই ফরমাশ খাটা ।বোনপো বোনঝি আমাদের  জিম্মায়। মায়েরা সারাক্ষন রান্নাঘরে ,আর আমাদের কপালে বকুনি।জাঁদরেল জ্যেঠামশাই চুন থেকে পান খসলেই  শব্দবান । বাবা তটস্থ । বেশ মজা লাগত ।দাদারাও  ভয়ে কাঁটা ।
বাড়িতে মূর্তি তৈরি হত। পুন্যদার সঙ্গে থাকতে হত ।পুন্য পাল বাড়ির পাশেই থাকত ।এটা দাও,ওটা দাও ।পুরান কাপড় দাও,তাতে মাটি লেপ দিয়ে কাঠামোর গায়ে আটকে দেয়া যাতে করে মাটি না ফাটে  । দেখতাম কি নিমগ্ন ভাবে খড় বাঁশের কাঠামো থেকে আস্তে আস্তে মাটি দেয়া,একটু একটু করে গোড়ে তোলা একটি অবয়ব ,শেষে ষষ্ঠীর দিন চক্ষুদানে গিয়ে শেষ  হত। পুন্যদাকে মনে হত জাদুকর। একটু একটু   করে মানস প্রতিমা রূপ দেয়া।
ষষ্ঠীর দিন বিকেলে  ঠাকুমা সকলের জন্য কেনা নতুন কাপড়ের ট্রাঙ্ক  নিয়ে বসতেন।একে একে  বড় থেকে ছোট সকলে যার যার প্রাপ্য  জামা কাপড় নিয়ে  যেতেন  । মায়েদের সকলের একই দামের  শাড়ী। বাচ্চাদের,ভাইদের একই রকম   ব্যবস্থা।  ভীষন  রকম সাম্যবাদ  মানা হত। বড়লোক  বাপের  মেয়ে বা ছেলে হলেই দামী জামা কাপড় পাবে সেটি হবার জো ছিল ন।
সপ্তমীর সকাল শুরু হত বাড়ির ছোট ছেলেদের ঘুম থেকে তুলে ফুল তুলতে পাঠান দিয়ে । ভোর চারটেতে উঠতে   হতো। সকালের আলো ফুটতেই ফুলের বোঝা নিয়ে সবাই ফিরল । ডালায় সবরকমের ফুল। এবার এগুলোকে গুছিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের   ,মেয়েদের।সাজিয়ে রাখা ভাগ ভাগ  করে ।তারপর মালা গাথা।তিরিশ চল্লিশখানা মালা গাথতে হত। এর মধ্যে সকলে যে যার মত বিভিন্ন রকমের কাজ খুঁজে নিত।কারোকে বলতে হত না । এক অদ্ভুত শৃঙ্খলা ।দুর্গাঘরের কাজ  বড়দের তদারকিতে হত।
বাড়ির বা বাইরে থেকে আসা বয়স্ক মহিলারা গীত গাইতে বসে যেতেন । একেবারে দুর্গার আগমন, জাগানি, বিল্ববরন প্রতিটি পর্যায়ের গান ।  মধ্যে মধ্যে অঞ্জলি ইত্যাদি নিয়ম কানুন চলছে । দুপুরের পরিবেশনের দায়িত্ব পড়ত ছেলেদের ওপর ।তার মধ্যে  আত্মীয় স্বজনদের আসা যাওয়া খুনসুটি  । যারা হয়ত সারা বছরে আসতে পারতেন না তারাও একবার ঢুঁ মেরে  যেতেন । এই পুজোর সুবাদে  অনেকের সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়া ,অনেকের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় হওয়া ।এমনকি দু চারটে বিয়ের সম্বন্ধ ,পাত্রি দেখাও ঘটে যেত ।  বাড়িতেই সব বয়েসের সঙ্গি জুটে  যেত ।তাই জায়গায় জায়গায় আড্ডা  জমত সন্ধ্যের পর। দেখা যেত গোল গোল হয়ে এক এক ঘরে এক দল সমবয়স্কদের মজলিশ চলছে। যদিও মা ,জ্যেঠিমা ,কাকিমারা সেই রাত বারটায় রান্না ঘর থেকে ছুটি   পেতেন। তাদের আড্ডাখানা ছিল রান্নাঘর ।কি আনন্দ, হাসি ,কলরব। হাতে হাতে কাজ করে   যাওয়া ।কোন  ক্ষোভ  নেই , আক্ষেপ নেই, অনাবিল আনন্দ, মাহামিলন ঘটেছে ।  তিন দিন ধরে এই নিরলস কর্মকাণ্ড চলেছে ।
দশমীর দিন এল।যেন বাড়ির মেয়েটি পিত্রালয় থেকে শ্বশুরঘর যাবে । মায়েরা এই তিনদিন নতুন কাপড় পরার সময় পাননি ।সেদিন পরলেন ।মেয়েকে যাত্রা করালেন চোখের জলে ।  মায়ের ঘর শূন্য মেয়ের যাত্রা । ট্রাকে   তোলা হল প্রতিমাকে ।জ্যেঠামনি সুর ধরলেন,
                                                 মারে ভাসাইয়া জলে
                                                    কি ধন লইয়া যাইমু ঘরে
                                                         ঘরে গিয়া মা বলিব
                                                                কারে গো ,ও  মা ।
                                                        হিমালয়ের যত নারী
                                                          তারা কান্দে  গৌরি গৌরি
                                                                 কান্দিয়া কান্দিয়া
                                                                        ধরণী লুটায় গো ,ও মা।

তাই মা আজ ভাঙ্গা যৌথপরিবারের স্মৃতিচারনায় চোখ ভাসান ।খুঁজে বেড়ান মাহামিলনের সোপানগুলো । সোনাঝরা  দিনগুলোয় ঝাপ  দিয়ে খোঁজেন চেনা মুখ  । আর বিড়ম্বিত হয়  ষষ্ঠীর বিকেল।
                                                                        ঃঃঃঃঃঃঃ
· · · Share · Delete

    • Anupam Das Sharma দৃশ্যায়িত হলো যেন। এমন নির্ভেজাল শারদ আনন্দ আজ গল্পগাথা। প্রায় বিলুপ্ত যৌথ পরিবারের মতই ।
      October 3 at 10:19pm · · 1 person
    • Nandita Bhattacharjee ঠিক বলেছ অনুপম কত সাধারন অথচ কত অসাধারন ছিল তার আনন্দ,,,,,
      October 3 at 10:22pm · · 2 people
    • Anupam Das Sharma আমি খুব অভাববোধ করি। আমাদের যৌথ পরিবার কালের গ্রাসে পরমানু। পড়ে বুকের ভেতরটা মুচড়ে উঠলো। কি অফুরান আনন্দ গমগম করতো সে সময় !!
      October 3 at 10:26pm · · 1 person
    • Nandita Bhattacharjee vishon sotyi,,,ajkalkar bacchader jonyo sotyi kosto hoi.6 mash boyesh thekeo oneke creche thake.ki vayanok din elo.
      October 3 at 10:28pm · · 1 person
    • Anupam Das Sharma Thik tai.. Bachhagulo jantrik hoye jachhe. Magojastro ar toiri hobe na...
      October 3 at 10:29pm · · 1 person
    • Debabrata Acharjee দক্ষিণ ভারতের কোন এক প্রান্তে, ফ্লাট বাড়ীর এই লিভিং রোমে বসে আমি ঠিক বুঝতে পারছি উনার দুঃক্ষটা। ভাঙ্গা গড়ার সাতকাহনে আমরা হারিয়ে ফেলেছি অনেক কিছু...
      Tuesday at 12:56am · · 2 people
    • Nandita Bhattacharjee thik bolecho debabroto,,,,amra chutchi,,,,
      Tuesday at 12:57am ·
    • Debabrata Acharjee কোথায় যে ছুটছি সেটা কি আমরা জানি? শুধু ছুটেই চলেছি।
      Tuesday at 1:00am ·
    • Debabrata Acharjee মাঝে মাঝে বাউল হতে ইচ্ছে করে..।
      Tuesday at 1:01am · · 2 people
    • Nandita Bhattacharjee thik jotro totro bichoron kora ,,,,mon mele diya jekhane khushi beriiye pora,,,,,,
      Tuesday at 1:02am · · 1 person
    • Chandrani Purkayastha thik..amar o tai mone hoy... nijer aim in life niye chut te chutte aj janina kuthay amar gontobyo.. ek mechanical jibon ki amar gontyobyo hote pare? tai bhabi.. na.. sei jibon ami chai na... tahole keno chutchi.....othocho..abar amar swopno gulo amake tariye tariye nije chole sei odbhut gontobyer dike.....amara Bisorjon natoker raja hoye uthchi na to????????????????
      Tuesday at 9:34am · · 1 person
    • Nandita Bhattacharjee ei tanaporen niyei to amader jibon,,,ei pure pure chola,,,
      Tuesday at 9:35am · · 1 person
    • Alok Biswas bah! phoner ringtonei to nore uthlo bishnna , tumi katha bole, deke uthle kakimake. sundar cchabi eakeccho nandita.
      Tuesday at 9:36am · · 1 person
    • Nandita Bhattacharjee thik alok,,,khub miss kori barir pujo ar joutho paribar,,,,,,
      Tuesday at 9:40am · ·


শর্তহীন কই

by Nandita Bhattacharjee on Monday, October 3, 2011 at 12:10pm
আবার তুই আগের
মত হবি যদি কথা
দিস, তবেই কিন্তু
বসা যেতে পারে
অলিন্দে ,বোঝাপড়ার
খেরোরখাতা হাতে--
সময় দেব, চুরি
গেছে যতখানি ।
আবার ভাসবে
সকাল উঁকি দিয়ে
 জোড়াখাঁচার পায়--
বিকেলটাকেও রাখব
বেঁধে উড়ান পাখনায়---
শর্তহীন সুখে ডাক
দিয়েছে মন, দেখি
তাতে পা দিয়ে
জল নাচে কেমন।  

সনেট-২ বাতিঘর

নেট-২ বাতিঘর

 হঠাত এক অনিমিখ ত্রস্ত নাবিক

কথা হয়ে ডেকে ওঠে মেঘ জাগতিক

বাতিঘর জ্বলে ওঠে বালুকাবেলায়
ডেকে যায় বিহ্বল সিগাল অবেলায়।
ক্রমশ চারপাশ তার রহস্য আঁধার
ছায়া ছায়া কাল ধোঁয়াশার আশ
কুয়াশায় ছায়াবৃত ঢাকে মুখ তার
নিরবচ্ছিন্ন অস্ফুট অন্বেষণে গুঢ়তার বাস।


রহস্যের অবিরাম অশরীরী অবগাহন
ছায়াবৃত গুঢ় অন্ধকার দ্যুতিময় যখন
বাতিঘর দূর দুরগত আবছায়ায়
সামুদ্রিক ঝড় ছাপ রেখে যায় ।
বাতায়নে চোখ বোজে দাখিনা বাতাস