ভ্যালেন্টাইন খুড়ো আসছেন । সে কি আর না জেনে থাকতে পারবে ! প্রথমেই খবরের কাগজ লাফিয়ে পড়বে সাত পাতা জুড়ে ।প্রথম পাতাতে ই লাল লাল হৃদয়পুর আসন বিছিয়ে বসে আছেন । সঙ্গে গহনাগাটি । পিসি এম পি অঞ্জলি সেনকো সারি সারি নামের বাহার । সোনাতে হচ্ছে না ।এখন হীরে জহরত ছাড়া চলছেই না । কত কুচি কুচি চ্ছটা দিয়ে মনিরত্মম। আমরা জনি এখন ৩-সি নাহলে বৃথাই সত্য যাচাই । ক্যারেট ,কাট ,কালার ।হু হু বাবা ।কম দিগগজ হয়েছি আমরা ! কোথায় কে না খেতে পেয়ে মরেছে ভারি এসে গেল ! চালাও পানসি ভ্যালেন্টাইন । কাগজে বিজ্ঞাপনে আবার চারটি খাপ থাকবে ।প্রথম খোপে হীরে ,তারপর সোনা ,৩য় রুপো ,৪র্থ জাঙ্ক ।তিনি আবার ননী ,সোনার খনি। এরপর কত টাকার কিনলে কত কিছু মু্ফ্ত । ৪০ হাজার টাকার জিনিষ কিনলেই নাকি একটি লকেট ফ্রি ।তার এক বিশাল ছবি দেখে আমার বন্ধু হাপাতে হাপাতে হাফ সি এল নিয়ে ছু্টল । পরের দিন দেখলাম মুখ বেজার ।জিজ্ঞেস করলাম হাকু পাকু করতে করতে যে গেলি হিরেমন কে ধরবার জন্যে তা এত মুখ বেজার কেন । বেজায় রেগে গেল ।এত বড় ছবি দিয়েছে লকেটের এই ত্ত টুকুনি পুচকে একটা লকেট । জোচ্চোর কত গুলো !!তা তুই কি ভেবে ছিলি হরিশচন্দ্র ।গেল। ছোটাছুটি করে হিরে সোনা তো হল। এবার আর্চিস তো তার বাহার নিয়ে বসা ।কার্ড ,হাতের ব্যান্ড ।হ্যানা ত্যানা । চারিদিকে ভ্যালেন্টাইন বিজ্ঞাপনে শহর ছেয়ে আছে । জামকাপড় ,জুতো ,জুয়েলারি । ১৪ ই বিকেল রেস্তোরাতে লাইন । মাসের খরচ অবধারিত ভাবে বেশি । ঘরে ঘরে কর্তাদের মন খারাপ । আগে ছিল পুজো -পার্বন । দেয়া থোয়া । উরি স্যাটা এখন তো তিন চারটে উপদ্রব এসে জুটেছে । এরপর অক্ষয় তৃতীয়া । আবার গহনা গাটি । আর আসল ধামাকাতো ধানতেরাস ।তরাসে বুক ধাকড় পাকোড় । তখন ব্যাঙ্ক গুলো ঝাপিয়ে পড়বে । ৪ গ্রাম ,৫ গ্রাম , ১০ গ্রাম। ১৫ গ্রাম , গ্রাম গ্রাম ...।সোনার কয়েন ...কিনুন কিনুন ।সম্পত্তি । দুঃসময়ের সঙ্গি আখেরে কাজ দেবে । ছেলেমেয়েদের বিয়ে শাদি মসৃণ । সঙ্গে আছে বাসন কেনার হিড়িক । মরন হল মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের ।সরকারিবাবুরা পে কমিশনে যা দু চার পয়সা পেয়েছেন কিছুটা ট্যাক্স ও আর গেল বানিয়াদের গব্বগৃহে । তার জন্যি নতুন নতুন বাহানাবাজি । আই টি ওয়ালারা বাজারের ভারসাম্য রক্ষা করচেন । তাদের দিকে বানিয়া গোষ্ঠীর শ্যান চক্ষু ।
লে লে বাবু ছয়ানা সঙ্গে মুফতি খানা । তার জন্যে কত বাহানা । মরল ব্যাঙ্গের ছানা ..............................।