Friday 18 November 2011

নাবান্নের ঘ্রান

নাবান্নের ঘ্রান~~
উৎসব সমারোহ শেষ ,চোখ পলক না
ফেলতেই সবুজের আসমান হেমন্তের মাঠ ,
যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজের সুখ মাখা,
হাত ধরে ছুটে চলা--আবার থামলেই মাঠে
সূর্যমুখী ফরমান,মাঠে তাঁত বোনে কে,
সবুজের জমিন পালটে হৈমন্তি আঁচলে
ক্ষেত মন বুটি,তিলে তিলে জেগে ওঠে
প্রান, মাঠ ভরে দুধ আসে ধানের বুকে,
সময়ের হাত ধরে শূন্য হয় মাঠ ,ধান
প্রান পেয়ে ভরে দেয় কৃষকের উঠান ,
সবুজ সোনার ক্ষন, নববধূ নবান্ন চন্দন
                                                                   ফোঁটায়, পা রাখে দুধ আলতায় গৃহস্থের
                                                                   আঙ্গিনায়। নবান্নের ঘ্রান ,প্রান পায় আহ্লাদি,
                                                                    সোহাগি অগ্রান ।
  ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~                                        

Wednesday 2 November 2011

প্রানের শহর~~~


ঝাপসা হয় পানবাজার অভার ব্রিজ,ভরলুমুখ,দিপর বিল,
কারবি গ্রাম, গোয়ালপাড়ার সূর্যাস্তের ব্রহ্মপুত্র,আমার
প্রানের শহর; বিধ্বস্ত হয়েছে তার চিত্রল মুখ ,ছবির মত
অমলকান্তি বাড়িগুলোর মুখ ঢেকেছে কর্পোরেট অশ্লীলতায় ,
উঠোনে দাঁড়ালে চোখ ছুঁয়ে যেত শরনিয়ার সাবলীল শরীর ;
কাহিলিপাড়া, জাপরিগগ,নিলাচল চোখ ঢেকেছে আঁচলে ,
চোখ হোচট খায় ধাবমান অতল তল ও বাজারের কৃত্রিম
আলোর ছলাকলায় ,ফ্লাইওভারের কার্নিশে মুখ ঘষে শহরের
বন্ধ্যা জীবন; হারিয়ে যায় স্মৃতির ক্যানভাসে এঁকে রাখা তুলির
বর্ণিল মেদুরতা ,সব শহরই আজ এক ছাঁচে ঢালা বৈচিত্র্যহীন
বেবাক নিথর শব;তবু ভালবাসি আমার প্রানের শহর ,তোর
লাইকেনহীন শরির থেকে আগ্রাসী আমি খুটে খাই অক্সিজেন মন।