'কমিউনিষ্ট' পুরুষতান্রিকতায় আক্রান্ত........."
".................. সোভিয়েত কমিউনিষ্ট পার্টির সর্বোচ্চ নেতৃত্বে মহিলা কোথায়?কেউ নাম জানেন?আমরা স্কুপস্কায়ার নাম শুনিয়াছি লেনিনের বান্ধবী হিসাবে।কিউবান পার্টির নেতৃত্বের কোন মহিলার কেউ শুনিয়াছেন কি?কিউবা ত্যাগ করিয়া বলিভিয়ায় চে প্রেমে,সশস্ত্র বিপ্লবে এবং মরনে ছিলেন তানিয়ার সঙ্গে ,ব্যস এইটুকুই ।একমাত্র চীনের কমিউনিষ্ট পার্টিতে ১৯৬৫ হইতে অন্তত পাঁচটা বছর মাও ৎসে তুঙ্গের স্ত্রী মাদান চিয়াং হইয়া উঠিয়াছিলেন সর্বেসর্বা' সাংস্কৃতিক বিপ্লবের প্রধান।তারপর তেং শিয়াও পিংয়ের উত্থান ,১৯৮৬ সালে মাওয়ের মৃত্যু এবং অতঃপর 'গ্যাং অফ ফোর '-এর চাদরে চির আবৃত হইলেন মাদাম চিয়াং।ঠিক এমনটাই হইয়াছিল রোজা লুক্সেমবার্গের ক্ষেত্রেও।নানা দেশে এত যে সফল এবং বিফল কমিউনিষ্ট বিপ্লব হইয়াছে তাহার মধ্যে লেনিনের প্রায় সমবয়সি রোজা লুক্সমবার্গই একমাত্র মহিলা যিনি ১৯১৯ সালের জার্মানির ব্যর্থ কমিউনিষ্ট অভ্যুত্থানের নেতৃত্ত দিয়াছিলেন লিবনেকটের সঙ্গে।অবশ্য তারা সকলেই ধরা পড়েন ও নির্মমভাবে খুন হন।কিন্তু ১৯১৯ এই অভ্যুত্থানের ডাক রোজা অনুমোদিত ছিল না।তাহাকে না জানাইয়া লিবনেকট্ বিপ্লবের ডাক দিয়াছিলেন। এবং এই ভুলের পরিণামে রোজা এবং লিবনেকট্সহ গোটা'দি রেড ফ্লাগ,দলটি নিশ্চিহ্ন হইয়া যায়।সম্ভবত।রোজা মহিলা হওয়ার কারণেই এত বড় মাপের নেত্রীর অগোচরে এমন একটি কান্ড মার্কসবাদী লিবনেকট্ ঘটাইয়াছিলেন।একদা লেনিনের বন্ধু রোজা পরবর্তী কালে ছিলেন বলশেভিক বিপ্লবের সমালোচক।
রুশ বিপ্লব পরবর্তী রাশিয়ায় 'গনতান্ত্রিক' বাতাবরণের পটভূমিকায় রোজা লুক্সেমবার্গ যা লিখিয়াছিলেন এই রাজ্যের ক্ষেত্রেও প্রাণধাণযোগ্য-'সরকারের সমর্থকদের জন্য স্বাধীনতা বা পার্র্টির সদস্যদের জন্য স্বাধীনতা -তারা সংখ্যায় যতই হোক না কেন,আসলে কোন স্বাধীনতাই নয়। প্রতিবাদীদের স্বাধীনতাই আসল স্বাধীনতা'।Freedom is always the freedom of the dissenter........................"-পাচু রায়,সংবাদ প্রতিদিন।১৩/৩/২০১১।
এই সব সমস্যা, সরল নারী -পুরুষ সমস্যার নয়। মনে পড়ছে এই নিয়ে মল্লিকা সেনগুপ্তের এক কবিতাও আছে। মেয়েরা কি বিপ্লবের সেবা দাসী হবে? শ্রেণিবিরোধ থাকা অব্দি ব্যক্তিগত সম্পত্তি থাকা অব্দি এই সব সমস্যা থাকবেই। তবে, গণতন্ত্রের সমস্যাকে অস্বীকার করা যাবে না।
ReplyDelete