Monday 15 July 2024

মনে মনে কথা

 

নীলা কখনই বুঝত না ওর মিস্টিদাদা কেন ওকে বার বার বলে একটাও কাজ পারিস না তোকে তো শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরত দিয়ে যাবে।এই যে মহত উক্তি সেটার ভাব বুঝতে বুঝতে জীবন কাবার হয়ে গিয়ে     ছিলনীলার! তবে সত্যি শকুনের সাপে গরু মরে । 

মিস্টিদাদা খুব প্রিয় দাদা হলেও আপন ভাই ছিল না । যদিও বাড়ির একান্নবর্তি পরিবারের এমন হাল নীলার বাবা মা ধরেছিলেন কে আপন কে পর বোঝা যেত না । তাই দিব্যি খোস মেজাজে সবাই চলত। এই একান্ন বর্তি পরিবারে যদিও নীলার বাবাই ছিলেন একমাত্র উপার্জনশীল পুরুষ তবুও বাড়ির খুঁটি থাকত ওর বড় জ্যাঠাইমার হাতে । মেয়েরা পদানত । সে বিষয়েও কিন্তু শ্রেনি বিভাগ আছে । সব মেয়ে সংসারে পদানত হবে তা নয় কিন্তু ! পদানত অত্যাচারিত হবে সেই মেয়ে যার বাপের বাড়ি দুর্বল । তবে সেটাও স্বতঃস্বিদ্ধ নয়। সেখানেও আবার নিরযাততার অপর পক্ষের মানসিকতা ও ক্ষমতার ওপর অনেক্কিছু নির্ভর করবে !

নীলার জ্যাঠাইমা ছিলেন জমিদার বাড়ির কন্যা । বাবা মোক্তার তখন এদের উকিল বলা হত ।তায় শহরে মানুষ । আর হৃদয় ছাড়া শুধু মাথা খানা নিয়েই জন্মেছিলেন । হৃদয় না নিয়ে জন্মানর অনেক সুবিধে । যে সময়ের কথা তখনও নাগরিক স্বার্থপরতা এখনকার মত ছেঁকে ধরেনি মানুষকে । আপনি কপনির হাড়িকাঠে তখন মানুষ এমনভাবে মাথা দেয়নি ।  সে সময়ই তাঁর ধ্যান জ্ঞান ছিল নিজের পরিবারের নেতৃত্ব । নিজের পরিবার কে রাজা করা। তাঁর সন্তান্দের সমৃদ্ধি । তবে নীলার পরিবারের ঘটে এত বুদ্ধি ছিল না যে এই সব রাজকীয় চাল ধরতে পারে । নীলার বাবার ছিলেন গান্ধী বাবার শিষ্য আর মা দুস্থ পরিবারের কন্যা ।সুতরাং সোনায় সোহাগা।

                                                                                                                                                  চলবে       

কবিতা

 




আঁচলের নীচে  ......

              নন্দিতা ভট্টাচার্য
দাঁত চেপে রেখেছিলে।
জানলায় টোকা দিয়ে গেছে । দাঁত চেপে ছিলে ।
কানের কাছে ফিস ফিস শাসানি । দাঁত চেপে ছিলে ।
বন্ধ দরজার পাশে রাত বিরেতে সাপের হিস হিস। দাঁত চেপে ছলে ।
শয্যা থেকে যখন তখন হাঁক পেড়ে তুলে নিয়ে গেছে । দাঁতে সুতো কাটনি ।
ওই গাছের দিকে তাকালে দেখতে পাও দড়ির প্যাঁচ । দাঁতে ঝিম মেরে আছে ।
ওই মাঠের দিকে তাকালে দেখতে পাও ফসল শূন্য এক মাঠ । দাঁত চেপে আছ।

 

শুধু মনে রেখ
যদা যদা হি ধর্মস্য......

 

আঁচলের নীচে মুড়ো ঝাঁটা
আঁচলের নীচে আঁশ বটি
আঁচলের নীচে আগুন ......
                                   ~~~~~~~~~~~~~~~~~~