Friday, 25 May 2012

কাঁটাবন

 বার বারই ভাবি যথেষ্ঠ হয়েছে  আর নয় --সঙ্গে সঙ্গে পাঁজরের তলায় একমুখ উগরে লাভা,  চোখ পাঁজরের ভেতরে সেঁধিয়ে ছটফট  , শিরাগুলো টান টান ,দপ দপ কপালের রগ্‌ , এক টুস্কিতে সারা গা বেয়ে নেমে আসবে রক্তের ধারা , অথচ কি আশ্চর্য মন থেকে সে তো বৃষ্টিতে ভিজতেই চেয়েছিল , ভিজবে বলেই ধেয়ে আসা অঝোরকে কখনও জড়িয়ে ধরেছে কখনও পাশ কাটিয়ে গেছে  পাশ কাটিয়ে গেলেও ছাট এসে তো  গায়ে  লাগে ।
আবার ঈশ্বরকে যত আকড়ে ধরতে চেয়েছে বার বার ঝড়ের ঝাপটায় দূরে সরেছে , আস্তে আস্তে ভীষণ পর মনে হয়েছ  তাঁকে , যত দিন গেছে শয়তানের সঙ্গেই ভাব  হয়েছে , অন্তত পক্ষে তাঁর একটি স্ফটিক চেহারা আছে ,বাকা আঙ্গুলে ঘি তোলার দর্শন  নেই ,সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলে দৃঢ় ভাবে , নাম ভাঁড়িয়ে নিয়তি নিয়তি খেলায় মানুষকে ঠেলে দূরে বসে মজা দেখেনা ,  ঈশ্বরের কাছে কোন পাকা হিসেবও নেই , যুক্তি  দিয়ে বোঝাতে পারবে না তার খেলার খতিয়ান ,কেন বৃষ্টির বদলে রক্ত  , ভারি মহানের বড়াই ! ঢের হয়েছে বাপু  আর নয় বললে তো সে তোমার পিছু ছাড়বে না বার বারই বাড়িয়ে দেবে কাঁটা সহ একটি  ডাল , রক্তাক্ত তোমার হাত , ঘেমে উঠবে তুমি রক্ত চানে , তোমায় নিদান দেবে বৃষ্টি তো সবার জন্যে নয়,  চণ্ডী তৈরি করার  খেলায় অন্নপুর্নার  হার তো হবেই  ।
একটি সোজা আলপথ ধরে যতই  এগোও পথের পাড়ে জরি চুমকির সালমা কাজের জন্যে ক জীবন অপেক্ষা করতে হবে তা কোন খেরোর খাতায় লেখা নেই ;নিরেট লাল সুতোয় বোনা আল ধরে ছুটে চলা অন্তহীন ...।

Wednesday, 9 May 2012

বুদ্ধের হাসি কান্না

বুদ্ধ হাসেননি কখনো
অথচ তাকে হাসানো হল
যেমন যুদ্ধের আয়োজনে কুকুরের লেজ
নাড়ালেই নড়ে ।


বুদ্ধ হাসেননি কখনো
বুদ্ধ হাসলেই পৃথিবীর চোখ কানা
বুদ্ধ হাসলেই পৃথিবীর চোখে টপ টপ জল
বুদ্ধ হাসলেই পৃথিবীর শরীরে গ্রহন ।
অথচ মহাভিক্ষুর শূন্য ঝোলায় নিদ্রিত পরম অনু
যার তিল তিল বিস্তৃতি এক গহিন ডুব
শান্ত শীতল দীঘির পুর্ন চন্দ্রমুখ ।
বুদ্ধ কাঁদলেই পৃথিবীর সুখ ।

কৃষ্ণগহ্বর


কৃষ্ণগহ্বরের দিকে পুনর্যাত্রা দুখি মানুষের
যদিওবা কয়েকপা হেঁটেছিল দূর সংগবদ্ধ
রক্তের সিঁড়িতে পা আটকে আবার পিছুহটা
এ রক্তক্ষরন তো নীরব, দু'দশকের সরব শীত
দিয়েছে নিদান, নিরানব্বই শতাংশের রক্ত ঘাম
গড়ে দেবে পৃথিবী কুলীন ,মননের সীমানায়
ঘাটি গাড়ে স্থবির বিকেল ,সুর্যোদয়ের আকাশ আজ
বিবর্ন বিহ্বল, সারিবদ্ধ পঙ্গপালের নিভৃত চারনভুমি ।

প্রকৃতির তীব্র ঘৃণা শূন্যতার প্রতি 
রাতের অবিশ্রান্ত পরিক্রমাই উজ্জ্বল দিনের উল্লাস ।
~~~~~~~~~~~~